কেদারনাথ ধাম ভারতের অন্যতম তীর্থস্থানগুলোর একটি। এটি ভারতের উত্তরাখান্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত। এই মন্দিরে মহাদেব শিবের পূজা করা হয়। এই মন্দিরের গর্ভগৃহে শিব জোর্তিলিঙ্গ অবস্থিত। জোর্তিলিঙ্গটি ত্রিকোণ আকৃতির। শিব ভক্তদের কাছে এটি অন্যতম তীর্থস্থান।

মহাভারত থেকে জানা যায়, মহাভারত যুদ্ধের শেষে পাপ মুক্তির উদ্দেশ্যে পান্ডবগণ মহাদেব শিবকে তুষ্ট করার জন্য এখানে এই মন্দির স্থাপন করেন। জনশ্রুতি আছে ৮ম শতকে আদি শংকরাচার্য তার শিষ্যদের নিয়ে এই মন্দিরে আসেন।

২০১৩ সালে ভয়াভহ বন্যায় পুরো কেদারনাথ অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও আকষ্মিকভাবে একটি বিশাল পাথর মন্দিরের পিছনে এসে মন্দিরকে রক্ষা করে। এই পাথরটিকে ভীমশিলা বলা হয়। ধারণা করা হয়, পান্ডু পুত্র ভিম এই মন্দির রক্ষার্থে শিলারূপে আর্বিভূত হয়ে এই মন্দির রক্ষা করেছিলেন।

কেদারনাথ মন্দির

কেদারনাথ ধাম কিভাবে যাবেন?

এই মন্দিরে দর্শন করতে হলে আপনাকে ভারতের যেকোন স্থান থেকে বাস, ট্রেন অথবা প্লেনে করে হরিদ্বারে আসতে হবে।

কেদারনাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যাওয়া যায়। মাধ্যমসমূহ নিম্নরুপ:

  • পায়ে হেটে
  • ঘোড়ায় চেপে
  • পিঠঠু বা ডোলিতে চেপে
  • পালকি করে
  • হেলিকপ্টারে করে।

আপনি কোন মাধ্যমে কেদারনাথ যাত্রা করবেন এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে হরিদ্বার থেকে সোর্নপ্রয়াগের উদ্দেশ্যে বাসে, প্রাইভেট জীপ বা শেয়ার জীপে করে রওনা দিতে হবে। বাস ভোর ৩ টা থেকে চালু করে সকাল ৬-৭ টা অব্দি পেয়ে যাবেন। শেয়ার জীপ বা প্রাইভেট জীপ প্রায় সবসময়ই পাওয়া যায়।

বাস ভাড়া: ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
শেয়ার জীপ: জনপ্রতি ১০০০ টাকা
প্রাইভেট জীপ: ৯০০০ টাকা (সিংগেল ট্রিপ)

আপনি যদি হেলিকপ্টার এ করে কেদারনাথ যাত্রা করতে চান তাহলে আপনাকে সোর্নপ্রয়াগগামী রাস্তায় গুপ্তকাশী অথবা ফাটায় অথবা শেরশি নেমে যেতে হবে। এই তিন জায়গা থেকে হেলিকপ্টার পাওয়া যায়। হেলিকপ্টার ভাড়া ৫৫০০ থেকে ৭৫০০ টাকা (রাঊন্ড ট্রিপ)।

আপনি হেলিকপ্টার বাদে অন্য মাধ্যমে কেদারনাথ যেতে চাইলে সরাসরি আপনাকে সোর্নপ্রয়াগ এ আসতে হবে। রাস্তায় জ্যাম থাকায় মাঝে মাঝে গাড়িগুলো আপনাকে সিতাপুরে নামিয়ে দিতে পারে। সেক্ষত্রে পায়ে হেটে আপনাকে সোর্নপ্রয়াগ এ আসতে হবে। আমরা সিতাপুর থেকে পায়ে হেটে সোর্নপ্রয়াগ এ এসেছি। দুরুত্ব মোটামুটি দুই কি.মি।

সোর্নপ্রয়াগ পৌছে শেয়ার জীপ বা পায়ে হেটে আপনাকে আসতে হবে গৌরীকুন্ড। দুরত্ব প্রায় ৫ কি.মি। শেয়ার জীপ ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা।

গৌরীকুন্ডে পৌছে আপনাকে এবার শুরু করতে হবে কেদারনাথ যাত্রা। গৌরিকুন্ড থেকে কেদারনাথের দুরুত্ব প্রায় ১৮ কি.মি। পায়ে হেটে গেলে আপনার যাত্রা শুরু করে দিন আর ঘোড়া, টোকরী বা পালকিতে করে গেলে আপনি এটি বুক করে নিন।

ঘোড়া ভাড়া: ৪০০০-৫০০০ টাকা
টোকরী: ৬০০০-৭০০০ টাকা
পালকি: ১৩,০০০-১৫,০০০ টাকা।

ফেরার পথে এই ভাড়া ২০% কমে আসবে।

আমরা পায়ে হেটে যাত্রা করেছি। আপনি যদি রাস্তায় বিশ্রাম নিয়ে যাত্রা করেন তবে ১১-১২ ঘন্টায় আপনি কেদারনাথ পৌছে যাবেন। আর একটানা হাটলে ৭-৮ ঘন্টায় পৌছে যাবেন।

পুরো রাস্তায় খাবার জন্য প্রচুর খাবার রেস্টুরেন্ট, বিশ্রামাগার এবং খাবার জল সংগ্রহ করার স্থান পেয়ে যাবেন। পাহাড়ে ট্রাকিং করার সময় আপনি প্রকৃতির অপরূপ রূপ দর্শন করবেন। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মন্দাকিনী নদী আর অসংখ্য ছোট বড় ঝর্ণা। আর দূর থেকে কৈলাস পর্বত আপনাকে ডেকে নিয়ে যাবে উপরে কেদারনাথ মন্দিরে ভোলানাথের দর্শনে।

উল্লেখ্য, কেদারনাথ ভ্রমণ, দর্শন ও মন্দিরে পূজা দেবার জন্য চারধাম পাস থাকতে হবে। আপনি অনলাইনে চারধামের ওয়েবসাইট থেকে সহজে পাস করাতে পারবেন। অনলাইনে সমস্যা হলে সোর্নপ্রয়াগে এসে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে কেদারনাথে এসে মন্দিরে পূজা এবং দর্শনের টোকেন কালেক্ট করতে হবে।

কেদারনাথ মন্দির দর্শন ও পূজা পদ্ধতি

শুধু মন্দির দর্শন করতে চাইলে কোন লাইনে না দড়িয়ে সরাসরি চলে যান মন্দিরের সামনে। আর মন্দিরের গর্ভগৃহ দর্শন করতে চাইলে টোকেন কালেক্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ুন। মন্দিরের মুখ্যদ্বার রাত ৩ টায় খুলে দেওয়া হয় আবার বিকেল ৩ টা থেকে বিকেল ৫ টা অব্দি বন্ধ করে রাখা হয়। আবার বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা ৩০ অব্দি মূখ্যদ্বার খোলা রাখা হয় পূজা দেবার জন্য। তবে সারারাত বাহির দরজা দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খোলা রাখা হয়।

মন্দিরের চারপাশে প্রচুর প্রসাদের দোকনের ব্যবস্থা আছে। সেখান থেকে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা দিয়ে আপনি প্রসাদ কিনে নিতে পারবেন। মন্দিরে পূজা দেবার জন্য বাড়তি কোন পান্ডা বা পুরোহিতের ব্যবস্থা নেই। ভিতরে মন্দিরে নিযুক্ত পুরোহিতই আপনার পূজা দিয়ে দিবেন।

মন্দিরে ভি.আই.পি. লাইনের ব্যবস্থা আছে। এজন্য আপনাকে জনপ্রতি ২১০০ টাকা প্রদান করতে হবে। এটি মন্দিরের পাশে থাকা অফিস থেকে ব্যবস্থা করতে হয়। এটি ৪০০০ টাকা অব্দি বাড়তে পারে।

সন্ধ্যা ৭:৩০ এ মন্দিরে সন্ধ্যা আরতি হয়, যা একটি মনরোম পরিবেশের সৃষ্টি করে। এটি অবশ্যই দর্শন করবেন।

কেদারনাথ

কেদারনাথে যাত্রায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কি?

কেদারনাথ: কেদারনাথে প্রচুর টেন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে। টেন্ট ফি জনপ্রতি ৫০০ টাকা। হোটেলের এখানে স্বল্পতা রয়েছে। হোটেল ভাড়া অনেক বেশি। হোটেল ভাড়া করতে কমপক্ষে ২ জনের প্রয়োজন হবে। ভাড়া ১১০০০ টাকা সর্বনিম্ন। হোটেলে বাথরুম ও জলের ব্যবস্থা আছে। টেন্টের ক্ষেত্রে আপনাকে ভ্রাম্যমান পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হবে এবং পাবলিক ট্যাপ থেকে জল সংগ্রহ করতে হবে। কেদারনাথে প্রচুর খাবার রেস্টুরেন্ট আছে। এখানে নন-ভেজ এবং মদ্য জাতীয় খাবার ব্যান। প্রায় সকল প্রকার ভেজ খাবার এখানে পাওয়া যায়। তবে খাবারের দাম সাধারনের প্রাইজের থেকে ৪-৫ গুণ বেশি।

গৌরীকুন্ড: গৌরিকুন্ডে প্রচুর ডরমেটরী এবং হোটেল রয়েছে। ডরমেটরি ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা নূন্যতম। হোটেল ৪০০০-৫০০০ টাকা। হোটেল বুকিং এর ক্ষেত্রে নূন্যতম ২ জন লোক আবশ্যক।

খাবার জন্য এখানে প্রচুর রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে ননভেজ এবং মদ্যপান ব্যান। খাবারের দাম কেদারনাথের থেকে সামান্য কম।

সোর্নপ্রয়াগ: সোর্নপ্রয়াগেও প্রচুর ডরমেটরী এবং হোটেল রয়েছে। ডরমেটরি ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা নূন্যতম। হোটেল ২০০০-৩০০০ টাকা। হোটেল বুকিং এর ক্ষেত্রে নূন্যতম ২ জন লোক আবশ্যক।

খাবার জন্য এখানে প্রচুর রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে ননভেজ এবং মদ্যপান ব্যান। খাবারের দাম কেদারনাথের থেকে সামান্য কম।

হরিদ্বার: এখানে হোটেল, ধর্মশালা, ডরমেটরী সব কিছুর জন্য যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা আছে। নূন্যতম ৫০০ টাকায় আপনি সবগুলোই বুক করতে পারবেন। এখানে প্রচুর রেস্টুরেন্ট আছে। খাবারের দাম কিছুটা বেশি। এখানেও নন-ভেজ এবং মদ্যপান ব্যান।

জনপ্রতি খরচ কেমন?

হরিদ্বার থেকে হরিদ্বার ট্রিপে পায়ে হেটে গেলে জনপ্রতি ৬০০০-৭০০০ রুপি খরচ পড়বে।

হরিদ্বার থেকে ট্রাভেল প্ল্যান:

১ম দিন: হরিদ্বার পৌছে একদিনের জন্য হোটেল বুক করে নিন। খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করে রেস্ট নিয়ে বাস স্ট্যাণ্ডে গিয়ে সোর্নপ্রয়াগ এর বাস, প্রাইভেট জীপ বা শেয়ার জীপ বুক করে নিন। রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।

২য় দিন: ভোরে উঠে স্নান করে নিন। আপনি এর পরে স্নান করার সু্যোগ নাও পেতে পারেন। তারপর বাসে করে রওনা দিন সোর্নপ্রয়াগ এর উদ্দেশ্যে। দুপুরের মধ্যে পৌছে যাবেন সোর্নপ্রয়াগ। পৌছে ডরমেটরী বা হোটেল বুক করে নিন। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম করে নিন। এখানে বাথরুমের খুব ভালো ব্যবস্থা নেই। আপনাকে ভ্রাম্যমান পাবলিক টয়েলেটে বাথরুমের কাজ সেরে নিতে হবে। তাই সুযোগ বুঝে এটি সেরে নিন। রাত ১০ টা অব্দি রেস্ট নিন। রাতের খাবার ও বাথরুম সেরে ১২ টার মধ্যে বের হয়ে পড়ুন গৌরিকুণ্ডের উদ্দেশ্য। এখানে গরম জলের কুয়া আছে। চাইলে স্নান করে নিতে পারেন। না হলে গৌরিকুন্ড থেকে হাটা শুরু করুন কেদারনাথের উদ্দেশ্যে। রাস্তায় মাঝে মাঝে রেস্ট নিয়ে নিন। প্রয়োজনে খাবার খেয়ে নিন।

৩য় দিন: সকাল ১১-১২ টার মধ্যে কেদারনাথ পৌছে যাবেন। কেদারনাথ পৌছে সকালের খাবার সেরে রাতে কেদারনাথে অবস্থান করতে না চাইলে আপনার বাজেটের মধ্যে হোটেল বা টেন্ট বুক করে নিন। টেন্ট বুক করলে কিচ্ছুক্ষন রেস্ট নিয়ে মন্দির দর্শন করুন এরপর সন্ধ্যায় সন্ধ্যা আরতি দেখে নিন।

(কেদারনাথে রাতে না থাকলে, পৌছেই টোকেন সংগ্রহ করে মন্দির দর্শন ও পূজা দিন। পূজা শেষে ভৈরব বাবা দর্শন করে রাত ৮-৯ টার মধ্যে নেমে পড়ুন গৌরীকুন্ডের উদ্দেশ্যে। পরের দিন গৌরিকুন্ড পৌছে চলে আসুন সোর্নপ্রয়াগ। সেখানে একদিন থাকুন অথবা বাস বা জীপে করে চলে আসুন হরিদ্বার। রাতে ২-৩ টার মধ্যে পৌছে যাবেন হরিদ্বার। হরিদ্বার পৌছে হোটেল বুক করে নিন।)

৪র্থ দিন: ভোর ৩ টায় লাইন থেকে টোকেন কালেক্ট করে মন্দিরে পূজা দেবার উদ্দেশ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ুন। পূজা দেওয়া হয়ে গেলে চলে যান ভৈরব বাবা মন্দির দর্শনে। দর্শন করে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে ৭-৮ টা নাগাদ বেরিয়ে পড়ুন গৌরিকুণ্ডের উদ্দেশ্যে।

৫ম দিন: গৌরিকুন্ড পৌছে চলে আসুন সোর্নপ্রয়াগ। সেখানে একদিন থাকুন অথবা বাস বা জীপে করে চলে আসুন হরিদ্বার। বিকালের মধ্যে পৌছে যাবেন হরিদ্বার। হরিদ্বার পৌছে হোটেল বুক করে নিন।

Kedernath

ভ্রমণ টিপস:

১. কেদারনাথের তাপমাত্রা সন্ধ্যার পরেই মাইনাসে চলে যায় এবং দিনে প্রচুর ঠান্ডা থাকে। তাই সাথে ভালো গরম কাপড় নিয়ে নিন।

২. কেদারনাথে আবহাওয়া মুহুর্তে পরিবর্তিত হয়। তাই প্রায়ই হুট করে বৃষ্টি চলে আসে, এজন্য সাথে রেইনকোট রাখুন।

৩. সাথে ড্রাই ফুড রাখুন। কাজু, কিসমিস, কাঠ বাদাম রাখুন।

৪. যত উপরে উঠবেন খাবার জলের মুল্য ততই বাড়বে, তাই খাবার জলের ব্যবস্থা নিচ থেকে করে নিয়ে গেলে ভালো হয়। উপরে গরম জলের জন্য ছোট ফ্লাস্ক সাথে রাখতে পারেন।

৫. বাথরুমের ব্যবস্থা ভালো নয়, তাই কম খাবার চেষ্টা করবেন এবং পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেবার ক্ষমতা রাখতে হবে।

৬. ট্রাকিং এর সময় সর্তক থাকবেন যেন পড়ে না যান।

৭. উপরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে তাই সাথে কর্পূর রাখেন।

৮. কোনভাবেই মদ্যপান করবেন না, এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কেদারনাথ যাত্রা সম্পর্কিত আমার ব্যাক্তিগত মতামত:

কেদারনাথ ভ্রমণে আমরা যারা যাই সকলে তীর্থ ভ্রমণে যাই। সকলের লক্ষ্য ভোলানাথের দর্শন। তাই তীর্থ যাত্রার জন্য পায়ে হেটে চলুন অথবা হেলিকপ্টার ব্যবহার করুন। আপনার যাবার জন্য ঘোড়া ব্যবহার থেকে যতটা পাড়ুন বিরত থাকুন। এটা খুবই ঝুকিপূর্ণ। অনেকেই রাস্তার মাঝে বাজেভাবে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। ঘোড়ার মালিকগুলো ঘোড়াগুলোর সাথে খুবই বাজেভাবে আচরণ করে। অনেক ঘোড়া মাঝপথেই মারা যায়। অনেক ঘোড়া পঙ্গু হয়ে যায়। পাশাপাশি হেটে যাওয়া পথযাত্রীদের এই ঘোড়া ও ঘোড়ার বাহকগণ প্রচন্ড বিরক্ত করেন।

বাচ্চা বহনের জন্য এবং একাবারে অসমর্থ্য না হলে পিঠঠু বা টোকরি এবং পালকির ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। একজন লোক ঘাড়ে করে একজন সামর্থ্যবান লোককে এতটা উপরে নিয়ে যাচ্ছে এটা দেখা খুবই লজ্জাজনক এবং অনেকটা ক্রীতদাস প্রথার সামিল।

নোট:

১. হরিদ্বারে থেকে নন ভেজ খেতে চাইলে ২০-৪০ টাকা দিয়ে অটো বা টোটো করে চলে আসুন জ্বলাপুরে। এখানে নন-ভেজ পাওয়া যায়। ননভেজ খাবারের জন্য বান্টি নন-ভেজ বা শের-ই-পাঞ্জাব রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন। আমরা নিজেরা এখানে খেয়েছি, খাবার মান যথেষ্ট ভালো। স্পেশালি বান্টি নন-ভেজ অসাধারণ রান্না করে।

২. কেদারনাথে ২-৩ লিটার পরিমাণ গরম জলের দাম ১৫০-২০০ টাকা। প্রোটেবল ছোট ওয়াটার হিটার সাথে রাখা লাভজনক।

৩. কেদারনাথে Jio এবং Airtel এর ইন্টারনেট ভালো। পাশাপাশি সকল টেন্টে ইলেকট্রিসিটি ও কম্বলের ব্যবস্থা রয়েছে।

আমি এই আর্টিকেলে আমার কেদারনাথ ট্রিপের সকল অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। প্রত্যাশা রাখছি আপনারা যারা কেদার নাথে ভ্রমণ করতে চান বা কেদারনাথ ভ্রমণের প্রস্তুতি৷ নিচ্ছেন তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

আপনার কেদারনাথ যাত্রা শুভ হোক।
জয় শ্রী কেদারনাথ ❤️
হর হর মহাদেব ❤️